প্রকাশিত:
২৭ আগস্ট, ২০২৫
১৮৯৯ সালের ২৪ মে, পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে নজরুলের জন্ম। শৈশব থেকেই তিনি দুঃখ-দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করেছেন। সেনাবাহিনীতে চাকরি করার সময় তাঁর জীবনে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়, আর সেখান থেকেই তিনি সাহিত্যে প্রবেশ করেন। তাঁর কবিতা, গান ও গল্পে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, শোষিত মানুষের মুক্তির আহ্বান এবং জাতিগত সমতার অগ্নিস্বর উচ্চারিত হয়েছে।
নজরুলের “বিদ্রোহী”, “সাম্যবাদী”, “দারিদ্র্য” প্রভৃতি কবিতা কেবল সাহিত্য নয়, বরং বিপ্লবী চেতনার অনন্য প্রতীক। তাঁর গান—যা “নজরুলগীতি” নামে পরিচিত—বাংলা সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছে। প্রেম, প্রকৃতি, মানবতা, ভক্তি—সব ক্ষেত্রেই নজরুল অমর সৃষ্টির ছাপ রেখেছেন।
বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর নজরুলকে ঢাকায় এনে জাতীয় মর্যাদায় ভূষিত করা হয়। তিনি শেষ জীবনে অসুস্থ ও বাকরুদ্ধ হয়ে থাকলেও তাঁর সৃষ্টিকর্ম বাঙালি জাতির মুক্তির সংগ্রামে প্রেরণা জুগিয়েছে।
১৯৭৬ সালের ১২ই ভাদ্র (২৯ আগস্ট) এই মহাকবি ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। আজ তাঁর মৃত্যুবার্ষিকী আমাদের মনে করিয়ে দেয়, তিনি কেবল একজন কবি ছিলেন না, তিনি ছিলেন সংগ্রামের অগ্নিশিখা, সাম্যের প্রতীক এবং মানবতার কণ্ঠস্বর। তাঁর রচনা আজও আমাদের পথ দেখায়, অনুপ্রাণিত করে।